খুলনার তেরখাদা উপজেলার জালাল উদ্দীন চৌধুরী। ১১ বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে এবার এক বিস্ফোরক আইনের মামলায় তিনি হয়েছেন এজাহারভূক্ত ১৭ নাম্বার আসামি।
তেরখাদা থানার পুলিশের এস আই চঞ্চল কুমার হালদার বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ৫ মিনিটে বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করেন।
মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ১১ বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছে। আর আমাকে ১০ নাম্বার আসামি করা হয়েছে।’
তেরখাদা থানা ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ওই মামলাটি গ্রহণ করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
মৃত ব্যক্তির নামে মামলার বিষয়ে জানতে বাদী এস আই চঞ্চল কুমার হালদারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মামলাটির এজাহারে মোট ৫০ জনকে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা বুধবার রাত ৯টার দিকে তেরখাদা থানাধীন মধুপুর গ্রামের মুধুপুর সুইচ গেইট ও গেইট সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপরে অবস্থান করে বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের লক্ষ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং জব্দ তালিকায় ৪ টি বোমা সদৃশ বস্তু, একটি শাবল দুটি কোদাল, বিস্ফোরিত ককটেল এর অংশ বিশেষ এবং ১৩টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, ‘খুলনার প্রতিটি উপজেলায় গল্প-কাহিনী সাজিয়ে বানোয়াট অভিযোগে নতুন করে গায়েবি মামলা করেছে পুলিশ। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়নই পুলিশের সারাদিনের একমাত্র কাজ ও উদ্দেশ্য। কে জীবিত আর কে মৃত সে যাচাই-বাছাইয়েরও সময় নেই পেটোয়া বাহিনীর।’