বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অগ্নিসন্ত্রাসীদের রুখতে জনগণের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:৪৮

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বার বার আমার ওপর আঘাত এসেছে। এখনও আমার ওপর বার বার হামলা হচ্ছে। এমনকি বিদেশেও প্রচেষ্টা (হত্যার) চালানো হয়েছে। তবে এজন্য আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। যতক্ষণ প্রাণ আছে এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’

অগ্নিসংযোগকারী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন বাংলাদেশ চান- ধ্বংসস্তূপের নাকি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম ও শেষ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একমাত্র নৌকা মার্কাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিতে পারে। আর বিএনপি পারে কেবল ধ্বংস করতে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ যেন খেলতে না পারে সেজন্য আমি দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র ছিল বলেই দেশ এগিয়েছে। সেটাকেই এরা ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কাজেই আমি দেশবাসীর কাছেই জানতে চাই, তারা কোন বাংলাদেশ চায়- এই ধ্বংসস্তূপ নাকি উন্নত বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের জীবনমানের যে উন্নতি হয়েছে সেটা যদি তারা ধরে রাখতে চায় তাহলে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই সেটা সম্ভব হবে। তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন, একমাত্র নৌকা মার্কাই পারে উন্নত জীবন দিতে। আর বিএনপি ধ্বংসই দিতে পারবে। এরা আসলে দেশের স্বাধীনতাও চায় না, মানুষের কল্যাণও চায় না। এটা হলো বাস্তবতা।’

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ এবং পরদিন বিএনপি আহূত হরতালের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, সাংবাদিক নির্যাতন আর পিটিয়ে পুলিশ সদস্য হত্যার মর্মস্পর্শী ফুটেজ প্রদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দৃশ্য আর দেখা যায় না। সাংবাদিকরা কী অপরাধ করেছেন। তাদের নির্যাতন করেছে, কুপিয়েছে। অথচ তারা তো বিএনপির সংবাদ সংগ্রহেই গিয়েছিল?

‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত আমরা তাদের পাশে আছি। সাধ্যমতো সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যাদের বাস পুড়িয়েছে, যাদের গাড়ি পুড়িয়েছে, এর আগেও সবাইকে আমি সহযোগিতা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাকিদেরও আমরা সেই সহযোগিতা দেব।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমি এই আহ্বান জানাব- যারা এ ধরনের অগ্নি-সন্ত্রাস করে, দুর্বৃত্তপনা করে সেই দুর্বৃত্তদের আপনারাই ধরিয়ে দিন। আপনার গাড়ি পোড়ালে এদের ধরে আগুনে ফেলেন। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দিন। তাহলেই ওরা থামবে, না হলে থামবে না এবং এটা দেশের মানুষকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে করতে হবে। দেশের মানুষের সহযোগিতা পেলে এদের এই দুর্বৃত্তপনা কমানো যাবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।

‘এটাই মানুষকে বলবো ভয়ের কিছু নেই। এরা মুষ্টিমেয়। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বার বার আমার ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু বেঁচে গেছি। এজন্য দেশের জন্য কাজ করতে পেরেছি, করে যাচ্ছি।

‘এখনও আমার ওপর বার বার হামলা হচ্ছে। এমনকি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও প্রচেষ্টা (হত্যার) চালানো হয়েছে।

‘এজন্য আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। জন্মালে মরতে হবেই। কিন্তু যতক্ষণ প্রাণ আছে এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’

বিদেশ সফরে এ ধরনের হামলা প্রচেষ্টার কথা বললেও সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী এজন্য লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার দোসরদের দায়ী করেন।

‘জনগণ আমার শক্তির উৎস’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দেশে ফেরা, কাজ করা- এর পেছনে একটাই শক্তি ছিল, সেটা বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণের শক্তি নিয়েই আমি চলছি। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার পরিবার বলতে মনে করি এই বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে। সেই মানসিকতা এবং আন্তরিকতা নিয়েই আমি দেশের কাজ করি।’

এ বিভাগের আরো খবর