আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার রাতে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সংবিধানের নির্দেশ করা আছে যে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। সেই নির্বাচনকে অবশ্যই সুষ্ঠু হতে হবে। অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হতে হবে। অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আশা করছি সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদকে প্রাণবন্ত, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর করতে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল সব সময় আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যগণ প্রতিটি অধিবেশনে যোগদান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, গঠনমূলক সমালোচনাসহ বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। জনস্বার্থে বিভিন্ন দিক এই সংসদে তুলে ধরেছে।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের সূতিকাগার হলো জাতীয় সংসদ। অতীতের যে কোনো সংসদের তুলনায় দশম ও একাদশ সংসদ অনেক কার্যকর।’
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আইনসভা বা পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে বিরোধীদলের অস্তিত্ব অপরিহার্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া-পাওয়া ও প্রয়োজন-প্রত্যাশা সংসদে তুলে ধরা ও সরকারের কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরার জন্য বিরোধীদল আবশ্যক । জনমত ও জনপ্রত্যাশা উপেক্ষা করে সরকার নিজের ইচ্ছা মতো পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে তার প্রতিবাদ করা বিরোধীদলের দায়িত্ব।’
‘বিরোধীদলের প্রধান কাজ শুধুমাত্র সরকারের সমালােচনা করা নয়। বিরোধীদল মূলত গঠনমূলক ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সংসদকে পরিচালনা করে থাকে বলেই বিরোধী দল সরকারের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমান সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি শুধু বিরোধিতার জন্য সরকারের বিরোধিতা করে না, তারা সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা এবং খারাপ কাজের সমালোচনা করে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে।’