বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ট্রেন যাবে ১ ডিসেম্বর

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৫৩

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার ৫৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে নন-এসি আসনের জন্য ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৫১৫ টাকা, এসি আসন ৯৮৪ টাকা, এসি কেবিন ১১৮৫ টাকা এবং এসি স্লিপিং বার্থ ১৭৭১ টাকা। এ ট্রেনে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যাবে। এই আন্তঃনগর ট্রেনে ৭৩৭ থেকে ৭৯৭টি আসন থাকবে। ২টি খাবার কোচ, পাওয়ার কার ১টি, এসি কেবিন ৩টি, এসি চেয়ার কোচ ৫টি, শোভন চেয়ার কোচ ৬টি ও ১ম শ্রেণির ১টি কোচ থাকবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প। সরকারের মেগা প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ার পর বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আরও এক স্বপ্নের প্রকল্প।

আগামি ১১ নভেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ১২ নভেম্বর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তা একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনে ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে ৭ নভেম্বর। তবে এ রেলপথে যাত্রীবাহি ট্রেন চলবে আগামি ১ ডিসেম্বর থেকে। এ ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, দিনে একটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে।

কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টার দিকে যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে ট্রেনটি। ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি থাকবে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে ট্রেনটির।

এর মধ্যে ট্রেনটির ছয়টি নাম প্রস্তাব করেছে রেলওয়ে। প্রস্তাবিত নামগুলো হলো, ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’, ‘হিমছড়ি এক্সপ্রেস’, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’, ‘ইনানী এক্সপ্রেস’, ‘লাবণী এক্সপ্রেস’ ও ‘সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস’।

ছয়টি নাম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাম চূড়ান্ত করবেন।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘এটি একটি মেগা প্রকল্প। মানুষের অনেকদিনের স্বপ্ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে পর্যটননগরী কক্সবাজারের সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এতে করে পর্যটকরা সহজেই সমুদ্রসৈকতে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য, সামুদ্রিক মাছ ও বনজ সম্পদ দ্রুত, সহজে ও সুলভে দেশের অন্যান্য এলাকায় পরিবহন করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে এ রুটের ট্রেন।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার ৫৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে নন-এসি আসনের জন্য ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৫১৫ টাকা, এসি আসন ৯৮৪ টাকা, এসি কেবিন ১১৮৫ টাকা এবং এসি স্লিপিং বার্থ ১৭৭১ টাকা। এ ট্রেনে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যাবে। এই আন্তঃনগর ট্রেনে ৭৩৭ থেকে ৭৯৭টি আসন থাকবে। ২টি খাবার কোচ, পাওয়ার কার ১টি, এসি কেবিন ৩টি, এসি চেয়ার কোচ ৫টি, শোভন চেয়ার কোচ ৬টি ও ১ম শ্রেণির ১টি কোচ থাকবে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলবে জনসাধারনের এমন স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এ রেলপথের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় রেললাইন ছাড়াও ৯টি স্টেশন করা হয়েছে। ৬ তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ঝিনুক আকৃতির কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে সব ধরনের অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রেল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা পর্যটন নগরীতে ট্রেন নিতে প্রকল্পটি ২০১০ সালে অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প সংশোধনে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর