দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া একই বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ ও হরতালের মতো কর্মসূচির পর সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন সাবেক জোট সরকারের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামী। বিরোধী পক্ষগুলোর এ অবস্থানের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার সুযোগ নেই।
এমন বাস্তবতায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে মিলারের উদ্দেশে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশ্নকর্তা বুধবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস হামলার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক ট্রেনে হামলা চালান বিএনপির সহিংস কর্মীরা। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের। চরমপন্থি সংগঠনগুলোর বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অবলম্বন করা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সরকারের পক্ষ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না এবং বিএনপিকে ‘সহিংসতা’ বন্ধ করে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাবে কি না, তা মিলারের কাছে জানতে চান প্রশ্নকর্তা।
জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আরেকবার, গতকালকে (মঙ্গলবার) যা বলেছিলাম, তার আগের দিন যা বলেছি এবং অনেকবার যা বলেছি, তা হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সবার: সব রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও সুশীল সমাজ। বাংলাদেশের জনগণ তাদের জন্য যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াও এক: শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।’