বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দেশব্যাপী ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের শেষ দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রবেশের দুইটি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বের দুই নম্বর ও চার নম্বর এই দুইটি গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায় এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা ও গণ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরা অবরোধ পালন করছি। অবরোধের তৃতীয় দিনে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলিয়েছি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের জনগণের স্বার্থ রক্ষার অবরোধ সফল করার লিখিত ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন জনগণের স্বার্থ রক্ষার অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখবেন। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখেন সামনের যেকোনো সহিংসতা এবং অপ্রতিকর ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী থাকবেন।
‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বলতে চায়, আমাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যতই হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার করুক আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি, জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব।’
তালা দেয়ার কাজ স্বীকার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় চেপে বসে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছে প্রতিটি সেক্টরে। কিছু স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তারা জনগণের সেবক না হয়ে সরকারের দালালি করছে। ছাত্রদল এই সরকার পতনে যে দূর্বার আন্দোলন গড়ে উঠেছে, ভূমিকা রাখছে এবং রাখবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালা ঝুলিয়ে দেয়ার পর গেট দুইটি দীর্ঘক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। পরে সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলে এলে গেটের তালা ভেঙে যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে দেন শিক্ষার্থী ও গেট সংশ্লিষ্ট থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর দ্বিতীয় গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভেতরে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নির্দেশে তালা ভাঙা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি।