তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন ঠেকাতে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালনের জন্য সুপ্রিমকোর্টের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে তার খাস কামরায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
বিকেল পৌনে ৩টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘উনি (প্রধান বিচারপতি) আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন এবং সৌজন্য বিনিময় করেছেন। আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
‘সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি আমরা একটি বিষয়ে ওনার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তা হলো, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটা এবার সিভিল কোর্ট ভ্যাকেশনের সময় হবে। সিভিল ভ্যাকেশনের কারণে যেন ওই দায়িত্বটা বন্ধ না থাকে।’
সিইসি বলেন, ‘সিভিল ভ্যাকেশনের কারণে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন বন্ধ থাকলে আমাদের ওই কাজটা পিছিয়ে যাবে। এটা জানিয়ে রেখেছি। যাতে ওই সময় (ডিসেম্বর) ওনারা দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতো দায়িত্ব পালন করবেন। এতটুকু আলোচনা হয়েছে। উনি বলেছেন যে এটা বিবেচনায় রাখবেন।’
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এর আগে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বুধবার। প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণের পর বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধান ও কর্মকর্তারা এভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন।
প্রসঙ্গত, গত নিবার্চনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।