কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
এসব মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমসহ বিএনপি, অঙ্গসংগঠন ও সহযোগিতা সংগঠনের ১৯০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হত্যার উদ্দেশে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে মামলাগুলো করা হয়। এসব মামলায় বুধবার সকালে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক পারভেজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬০০ জনকে আসামি করে দুইটি এবং বাজরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম বাদী হয়ে বুধবার সকালে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হাজারেরও বেশি সংখ্যক লোক অস্ত্রসহ ছয়সূতি এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করতে ইটপাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করে। বাধা দিতে গেলে তারা চারদিক দিয়ে আমাদের ঘিরে ফেলে। আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা চালায়।
‘আত্মরক্ষার্থে আমরা রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করি। এ ঘটনায় আমি, থানার কর্তব্যরত এএসআই মান্নান, এএসআই সাকিনুর, এএসআই জুয়েলসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হই। এসব ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’