প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় সেটা বাংলাদেশ-ভারত প্রমাণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বুধবার ‘আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারতের অর্থায়নে এই তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ। এ জন্য আমি নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
উদ্বোধন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবদান রাখবে। এ ছাড়া দেশে মেট্রোরেল সেবা চালু করেছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন। আমি সত্যিই খুব খুশি। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আমাদের অর্জন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লাভ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে উল্লেখ করেন।