প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগসহ তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।
দুই নেতা যৌথভাবে বুধবার ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগ উদ্বোধন করেন। খবর বাসসের
এ ছাড়া আরও দুটি প্রকল্প হলো খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন ও মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ও বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার এবং ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।
এর আগে সোমবার দ্বিতীয় দফায় রেলপথটিতে চালানো হয় পরীক্ষামূলক ট্রেন।
করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে দেড় বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছিলেন। আজ (বুধবার) দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধন করা হলো।
মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণসহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট চালু হলে বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।