নির্বাচনকালীন সরকার ছোট না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার যেভাবে আছে, নির্বাচনের সময়েও সেভাবেই চলমান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমন ইঙ্গিত দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের আকার ছোট করলে দেখা যায় যে অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয় না। কাজগুলো বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্যই বলছি, আমাদের যেভাবে আছে ওইভাবেই চলমান থাকবে। সরকার রুটিন কাজ করবে। আকার-বিকার যেটা হবে, তখন দেখা যাবে।
‘নির্বাচনকালীন সরকার কে বা কী হবে, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। আমরা যেভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলাপ করেছি, সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে আছে সেভাবে চলবে। আমরা যারা থাকব, নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে আমরা রুটিনওয়ার্ক পালন করব।
‘দৈনন্দিন কাজ করব, যাতে সরকার অচল হয়ে না পড়ে। তিন প্রার্থী হবেন তিনি তো আর সরকারি কোনও সুযোগ পাবেন না। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রীরা আর সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভারত, কানাডা বা ইংল্যান্ডসহ সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও সেটাই হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, যখনই তফসিল হবে এবং নমিনেশন সাবমিট হবে, তখন থেকে আর মন্ত্রীরা সুযোগ-সুবিধা বা পতাকা- কোনও সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। একজন প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট চাইতে হবে।
‘২০১৮ সালে সেভাবে হয়েছিল। হ্যাঁ, ২০১৪ সালে আমি অন্য দল থেকে কিছু মন্ত্রী নিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে সেই পদ্ধতি করিনি। যেটা অন্য দেশে হয় এবারও সেই পদ্ধতি হবে। রাষ্ট্রপতি অসুস্থ। তিনি বাইরে আছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তফসিলের পর যে সময়টা দেয়া হয়, মনোনয়নপত্র জমার সময় দেয়া হয়। বাছাই হয়। প্রত্যাহার হয়। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।’
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়। সে সময় কোনও মন্ত্রী কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না। এটাই নিয়ম। কিন্তু সরকার থেমে থাকবে না। সরকারি দৈনন্দিন রুটিন ওয়ার্ক চলবে। নইলে তো স্থবির হয়ে যাবে, দেশ তো চলবে না।’
আসন্ন নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হওয়ায় গণভবনে বসে আর ভিডিও কনফারেন্স করবেন না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আলাদা একটা অফিস নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনে যোগদান শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন।
বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে প্রতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান। সবশেষ ৬ অক্টোবর তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন ভারতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন এবং জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মঙ্গলবার আবারও সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।