আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের আশংকা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে এবং যথাসময় হবে। কারো চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবনে’ সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কোনো বিদেশি শক্তি কি আমাদের নিয়ে চোখ রাঙ্গাচ্ছে আর নির্বাচন কি যথাসময়ে হবে, এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং নিয়ম মেনেই হবে। কে চোখ রাঙ্গালো আর কে বাঁকালো এ নিয়ে আমরা কোনো পরোয়ানা করি না।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৩ সালে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই, ২০১৮ সালে পারেও নাই। ২০২৪ এও পারবে না কেউ।
‘দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের জন্য অনেক সংগ্রাম করেই কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আর গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচিত সরকার থাকলে- বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে যে উন্নতি হয় এটা তো আপনারা বিশ্বাস করেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ১৪ বছরের দেশের অভূতপূর্ব যে উনয়ন ও পরিবর্তন হয়েছে তা দৃশ্যমান। প্রত্যেকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা মাফিক করেছি। তৃণমূলের যে পরিবর্তন হয়েছে তা আপনারা নিজের দেখে আসেন। কাজেই কে চোখ রাঙ্গালো, কে বাঁকালো তাদের পরোয়া করার সময় নেই আমাদের।’
কোন শক্তি চোখ রাঙ্গাচ্ছে সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে রাঙ্গাচ্ছে এটা আপনারা বুঝেন না? আমার বলতে হবে কেন?’
নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারই থাকবে না আকার কমবে জানতে চাইলে তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।
সংলাপ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ করবো? ট্রাম্প সাহেবের সঙ্গে কি বাইডেন সংলাপ করছে। যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করবে সেদিন আমিও সংলাপ করবো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনে যোগদান শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন।
বিদেশ সফর শেষে প্রতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান। সবশেষ গত ৬ অক্টোবর তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন ভারতে জি-২০ সম্মেলন এবং জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্রধানমন্ত্রী।