প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও নিজেদের সন্ত্রাসী দল প্রমাণ করল। তারা এতদিন রাজনৈতক কর্মসূচি পালন করে এসেছে। সরকার বাধা দেয়নি বরং সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর তারা অহিংস কর্মসূচি পালন করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েও সন্ত্রাস-নাশকতা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, এদের সেভাবেই শিক্ষা দেব।
সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার বিলেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডার আদালত কয়েকবার বলেছে বিএনপি সন্ত্রাসী দল। সেদেশের দুজন পুলিশ সদস্য এই মুহূর্তে বিএনপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে স্বাক্ষী দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে তারা (বিএনপি) কিছুটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল। আমাদের সরকার তাদের কোনো বাধাও দেয়নি। তাদের ওপর একটি শর্ত ছিল তারা যেন অগ্নিসন্ত্রাস-ভাঙচুর, এগুলো না করে। তারা যখন সুস্থ রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসও ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে তাদের যেই ঘটনা, বিএনপির যে সমস্ত ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে মাটিতে ফেলে পুলিশকে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া, বিএনপির আর কিছু জুটবে না।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনির ওপর যেভাবে হামলা করছে, এখানে হাসপাতালে বোমা হামলা করল, নারী শিশুদের অত্যাচার করেছে, তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখে দিয়েছে, আমি তফাত কিছু দেখতে পারছি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
সরকারপ্রধান বলেন, যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। বাংলাদেশের এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, দেখাবে বাংলাদেশে কিছু হয়নি। তাদের হামলা শিকার একদিকে পুলিশ, আর হচ্ছে সাংবাদিক। এদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। সেগুলো কারা করেছে, তাদের নাম ডাক....। তারতো প্রকাশ্যে করেছে। শুধু তাই নয়, তারা লালমনিরহাটে আমাদের যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা, আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র। হঠাৎ কেন সাংবাদিকদের তারা চড়াও হলো? সাংবাদিকরা তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দিচ্ছিল। টকশোতে ভালো ভালো কথা। বরং সরকারের দোষটাই সাংবাদিকরা বেশি দেখে। তাহলে তাদের রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর হলো? সেটাই বুঝতে পারলাম না।
সাংবাদিকদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী।