বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিন মেলেনি ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ ধরা পড়া সেই কর্মকর্তার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:১২

প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আপনারা জিরো টলারেন্সের কথা বলি। আবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামিন আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে আসেন। কারাগারে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে জামিন পেলে মানুষ সেটিকে ভালোভাবে নেয় না।

ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়া রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়ার জামিন স্থগিতাদেশের মেয়াদ তিন মাসের জন্য মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আপনারা জিরো টলারেন্সের কথা বলি। আবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামিন আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে আসেন। কারাগারে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে জামিন পেলে মানুষ সেটিকে ভালোভাবে নেয় না।

পরে আদালত তিন মাসের জন্য মুলতবি করে দেয়।

আদালতে মহিবুল ইসলামের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

এর আগে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল রাজশাহী মুখ্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিএমএম) হাজির করা হয় মহিবুল ইসলামকে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

তার আগে ৪ এপ্রিল দুপুরে রাজশাহী কর ভবনে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ রাজশাহী কর অঞ্চলের (সার্কেল-১৩) উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। এ ঘটনায় দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬১ ধারাসহ দুর্নীতি বিরোধী আইনে মহিবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলামকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, রাজশাহী নগরীর মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার পাঁচ বছরের ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে কর কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম আপত্তি তোলেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গেলে তিনি ডা. ফাতেমার কাছে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তা ৫০ লাখ টাকায় রফা হয়।

বিষয়টি জানিয়ে ফাতেমা সিদ্দিকা গত ২৯ মার্চ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক ফাঁদ পেতে তাকে হাতেনাতে ধরে।

এ বিভাগের আরো খবর