বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকার সড়ক প্রায় স্বাভাবিক, গন্তব্যে ছুটছে কর্মমুখী মানুষ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০৮:৩৬

নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। সড়কে বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম চলছে যানবাহন। তবে কর্মমুখী মানুষ থেমে নেই। গন্তব্যে ছুটছেন তারা।

হরতালের পর এবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়, অবরোধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ঢাকায় তেমন একটা প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।

নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। সড়কে বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম চলছে যানবাহন। তবে কর্মমুখী মানুষ থেমে নেই। গন্তব্যে ছুটছেন তারা।

শাহবাগ, মগবাজার, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন ও দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে গণপরিবহনও কিছুটা বাড়ছে। বাড়ছে পাইভেটকারের সংখ্যা। কেউ রওনা হচ্ছেন রিকশা, কেউ সিএনজি কেউ বা মোটরসাইকেলে।

এর আগে রোববারের সকাল-সন্ধ্যার হরতাল শেষে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অবরোধোর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অজ্ঞাত স্থান থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সড়ক, নৌ ও রেলপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রিজভী বলেন, সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে।

বিএনপির এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীও একই কর্মসূচি দিয়েছে।

এর আগে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে শনিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। একই সময়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগ। আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মতিঝিলের দিকে মাঠে ছিল জামায়াতে ইসলামী।

বিএনপির সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি। আগুন, ভাঙচুর ও ককটেল ছোড়া হয়। পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের এক কনস্টেবলকে। এ ছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন আরও একজন।

সমাবেশ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার সারা দেশে হরতালের ডাক দেন। হরতালের দিন রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুনসহ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অবরোধের আগের দিন রাতে বাসে আগুনসহ সহিংসতার খবর এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর