রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি শহীদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণা করে।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার কারণ জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের। এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।
এই আইনজীবী বলেন, ‘আদালত রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে দিয়েছেন। আর আসামিদের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মৃতুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
‘বিচারিক আদালত যে ধারায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল, সেই ধারায় আসামিদের অপরাধ হয়নি। এই আসামিরা সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ৬ এর (আ) তে অপরাধ করেছেন। এ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। কিন্তু বিচারিক আদালত অ উপধারায় সাজা দিয়েছে।
‘হাইকোর্ট বিভাগ আজ রায়ে বলেছে, বিচারিক আদালত ভুল ধারায় সাজা দিয়েছেন; যে কারণে উচ্চ আদালত সেই রায়ে হস্তক্ষেপ করে আমৃত্যু সাজা দিয়েছেন।’
রায়ে যে সাত আসামির সাজা কমেছে তারা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠান বিচারিক আদালত। দীর্ঘ শুনানির পর উচ্চ আদালত সোমবার রায় ঘোষণা করে।