রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে আলোচিত হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু হয়েছে।
রায় পড়ছেন হাইকোর্ট বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
রায়ে মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ১১ অক্টোবর এ মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি সম্পন্ন হয়। পরে রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট।
রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এই মামলাটি দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আমি আশা করি, এ মামলায় বিচারিক আদালত যে রায় দিয়েছে, সেই রায় বহাল থাকবে।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।
এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠায় বিচারিক আদালত।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ দিলে সেখানে মামলার শুনানি হয়।
বিচারিক আদালতে হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পান।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি এখন কনডেম সেলে আছে।