নিখোঁজের তিনদিন পর মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের বিজন নামে এক অটোচালকের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে গর্তের মধ্য থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার ২২ বছর বয়সী বিজন একই উপজেলার মোনাখালী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন বিজন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকলেও রাতে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ তার সন্ধান চেয়ে ২৭ অক্টোবর বিজনের চাচা ইউনুস আলী মুজিবনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বিশ্বনাথপুর গ্রামের ভাদু মল্লিক রোববার দুপুরে তার বাঁশ বাগানে গিয়েছিলেন কাজে। মোনাখালী আর বিশ্বনাথপুর গ্রামের মাঠের মধ্যেই এই বাঁশ বাগানের অবস্থান। বাগানের মধ্যে অস্বাভাবিক গন্ধ তার নাকে আসছিল। বিষয়টি তিনি স্পষ্টভাবে আঁচ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন। বাঁশ বাগানে অস্বাভাবিক গন্ধের বিষয়টি নিয়ে এদিন রাতে চায়ের দোকানে বসে থাকা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। বিজনের নিখোঁজের বিষয়টি চায়ের দোকানে বসা কয়েকজন অবগত ছিলেন। বিজনকে হত্যা করে সেখানে পুঁতে রাখা হতে পারে এমন সন্দেহে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে রোববার রাত ৯টার দিকে মুজিবনগর থানার পুলিশের একটি দল ওই গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভাদু মল্লিকের বাঁশ বাগানে অনুসন্ধান চালায়। পুরো বাগান তল্লাশি করার একপর্যায়ে বস্তাবন্দি মরদেহের খোঁজ মেলে। বাঁশ বাগানের মধ্যে কিছু অংশ গর্ত করে তার মধ্যে বস্তায় মরদেহ ছিল।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, বিজনকে হত্যা করে গুম করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশের কয়েকটি দল। আর বিজনের মরদেহ সোমবার ময়নাতদন্তে শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।