রাজধানীতে গতকাল শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ২৮ মামলায় ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের আসামী করা হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৭টি থানায় ২৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা বিভাগে একটি, মতিঝিল বিভাগে ১১টি, ওয়ারী বিভাগে তিনটি, তেজগাঁও বিভাগে ২টি, মিরপুর বিভাগে ৭টি, গুলশান বিভাগে ৩টি ও উত্তরা বিভাগে একটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শনিবার রাত পর্যন্ত ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি, গত ২১ অক্টোবর থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত সব মিলিয়ে এক হাজার ৪৮০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ।
এর মধ্যে শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় যে ৬৯৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২০৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে মিরপুর বিভাগে। এরপরই ২০৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে লালবাগ বিভাগে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির ‘মহাসমাবেশের’ দিন সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দলটির স্থায়ী কমিটির নেতা মির্জা আব্বাসসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করে ছয়টি মামলা হয়েছে। শাহজাহানপুর থানার ওসি হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেছেন, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়। মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পুলিশ হত্যাকারীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘যারা পুলিশ হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হত্যাকারীদের যেখানে দেখা হবে সেখানেই গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি যেসব মামলা হয়েছে, সেই মামলার আসামীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুল চার রাস্তার মোড়ে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ডিউটিরত অবস্থায় আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নামে এক কনস্টেবল নিহত হন। নিহতের পুলিশ সদস্যের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। তার বাবার নাম সেকান্দার আলী।