বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইশরাকের ছোট ভাইসহ ছয়জন রিমান্ডে

  • প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:২৬

আসামি পক্ষের আইনজীবী ও যুব দলের আইন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ নিহার হোসেন ফারুক বলেন, ‘রোববার ইশফাক সহ ছয় আসামিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আলমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের এক সপ্তাহের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন এ সময়।’

রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ছোট ভাই ইশফাক হোসেনসহ ছয় জনের রিমান্ডে আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুমিত কুমার সাহা ৫৩ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে ইশফাকসহ ৬ জনের সাত দিন করে রিমান্ড এবং ৪৭ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন সুমিত কুমার।

ইশরাক হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। রিমান্ডে নেয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন জহির হাসান, লিয়াকত, মফিজ, বাবুল ও আজিম উদ্দিন।

ইশফাকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসিম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এছাড়া অন্য ৫ জনসহ বাকি ৪৭ জনের জামিন আবেদন করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ও যুব দলের আইন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ নিহার হোসেন ফারুক বলেন, ‘রোববার ইশফাক সহ ছয় আসামিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আলমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের এক সপ্তাহের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন এ সময়।’

তিনি এ সময় আরও জানান, শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ইশরাকের গুলশান-১ নম্বরের বাসায় তল্লাশি করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাই ইশফাক হোসেন ও গাড়িচালক রাজিবকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়া যায় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইশফাক হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নিহার হোসেন ফারুক বলেন, ‘ইশফাক হোসেন কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। বড় ভাই ইশরাক হোসেনকে বাসায় না পেয়ে পুলিশ ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এটি প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু না। ইশফাক হোসেন পড়ালেখার জন্য লন্ডনে থাকেন। দেশের কোনো রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত না হওয়ার পরও তাকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশে যে আইনের শাসন নেই তা ইশফাককে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার আবারও প্রমাণ করে দিল। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ইশফাক ওই দিন সমাবেশেও অংশগ্রহণ করেননি। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হলো। আমরা তার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।’

শনিবার রাজধানীর পল্টনে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় নাশকতার মামলা করা হয়।

রোববার ইশরাক হোসেনের গুলশানের বাসভবন থেকে ইশফাক হোসেনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অপর আসামিদেরও বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর