শনিবার রাজপথে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিএনপিকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘দলটি আন্দোলনের নামে পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। সাংবাদিকদের আক্রমণ করেছে। এই সন্ত্রাসীদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ হত্যা করে, পুলিশের ওপর আক্রমণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণের পর যখন সমাবেশ পণ্ডু হলো তখন তারা হরতাল দিচ্ছে। নিজেরা অপকর্ম করে তার দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এবার আর রক্ষা হবে না। এই অপকর্মের দায় মির্জা ফখরুল সাহেবদের বহন করতে, এদের আর ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘গতকালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই স্বাধীন বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বহু আন্দোলন হয়েছে। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছিল, ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করেছেন আমরা আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছিলাম। এরপর ২০০৬ সালে আবার অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের অগণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ প্রতিহত করেছিলাম তখনও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়নি। বরং বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে আমরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি।’
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের এই অপকর্মের কিছু সুশীল সমাজ টেলিভিশনে বসে তাদের পক্ষে সাফাই গান। এরা কারা? এরা তথাকথিত সুশীল সমাজের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এই দালালদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এরা সুশীলের নামে বসে দেশের ও সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলে দেশের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করতে চায়। এদেরকেও আইনের মুখোমুখি করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তাফ জালাল মহিউদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।