রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আব্দুর রশীদ সর্দার নামে বিএনপির এক নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, বাসে আগুন দেয়ার সময় ধাওয়ার মুখে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক অভিযোগ করে মিডিয়াকে বলেন, ‘আজ (রোববার) দুপুরে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনে থেকে আবদুর রশিদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।’
আমিনুল হক জানান, আবদুর রশিদ আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক। তার বাবার নাম খলিল সর্দার। গ্রামের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। ঢাকায় তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তানকে নিয়ে আদাবর থানার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
এদিকে পুলিশ বলছে, পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার অভিযোগে কয়েকজন ধাওয়া দেয়। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা আব্দুর রশীদ সর্দার। পরবর্তীতে সেখান থেকে পড়ে মারা যান তিনি।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর খবর পেয়েছি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি, নিহত ব্যক্তি বাসে আগুন দিয়েছেন। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন তাকে ধাওয়া দিলে আত্মরক্ষার্থে ওই ভবনে উঠেছিলেন। পরে পাশের কোনো ভবনে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে যান বলে জেনেছি। এর আগে কী হয়েছে সে বিষয় তথ্য পাইনি।’
তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে কিনা সেটি তদন্ত করলে পাওয়া যাবে।