খুলে দেয়ার প্রথম দিনে বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পাড়ি দিয়েছে ২ হাজার ১৭টি যানবাহন। এসব যানের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা।
রোববার সন্ধ্যায় সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে টানেল খুলে দেয়ার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২ হাজার ১৭টি গাড়ি পার হয়েছে।’
টানেল পাড়ি দেয়া যানের মধ্যে অধিকাংশই ব্যক্তিগত যান বলে জানান তিনি। সেই হিসেবে প্রতি ঘন্টায় ১৬৮টির বেশি যান কর্ণফুলী পাড়ি দিয়েছে। ঘন্টা প্রতি টোল আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৭ টাকা।
এর আগে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ছোটবড় মিলিয়ে ৭৮৭টি গাড়ি টানেল পার হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস। ওই সময় পর্যন্ত মোট টোল আদায় হয়েছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫০ টাকা।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর রোববার সকাল ৬টা থেকে টানেল খুলে দেয়ার কথা ছিল। প্রথম সাধারণ মানুষ হিসেবে টানেল পাড়ি দিতে বিভিন্ন যান নিয়ে রাত তিনটা থেকেই দুই প্রান্তে অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে।
টানেল খুলে দেয়ার পর প্রথম বাস হিসেবে আনোয়ারা প্রান্ত থেকে ‘বিডি বাস লাভার’ নামের একটা গ্রুপকে নিয়ে টানেল পাড়ি দেয় মারসা পরিবহনের একটি বাস।
ওই বাসের যাত্রী রিয়াদুজ্জামান বলেন, ‘প্রথম গণপরিবহনের যাত্রী হিসেবে টানেল পাড়ি দিয়ে গর্বিত আমরা। আমরা প্রায় রাত তিনটা থেকে অপেক্ষায় ছিলাম।’
শনিবার বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে খুলল দেশের দক্ষিণা দুয়ার। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত এটাই প্রথম টানেল।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং টানেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেলে টিউব নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। টানেলটির নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। শুরুতে প্রকল্প ব্যয় ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ধরা হলেও ২০১৭ সালে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা করা হয়।