বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের চাঁদে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:৩৭

গবেষণার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দেবেন। তাহলে এই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।’

বাংলাদেশ চাঁদে পৌঁছাতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। দ্বিতীয়টাও আমরা করব। এর পরে তো আমাদের চাঁদে যেতে হবে। সেই চাঁদে যাওয়ার জন্য আমি কিন্তু লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্পেস ইউনিভার্সিটিও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়) করে দিয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রোববার বিশেষ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডক্টর অফ ল’স (মরণোত্তর) ডিগ্রি প্রদান করার জন্যই মূলত এই সমাবর্তনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের হাত থেকে এই ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমারও বিশ্ববিদ্যালয়। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি চাই গবেষণা যেন হয়। গবেষণার ওপর যেন বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কৃষি গবেষণা আমরা খুব সাফল্য অর্জন করেছি। আজকে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। লালমনিরহাটের এভিয়েশন স্পেস ইউনিভার্সিটিসহ প্রতিটি ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িতভাবে তৈরি করে দিচ্ছি, যাতে করে সব ধরনের শিক্ষা ও গবেষণা আমরা করতে পারি।’

গবেষণার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দেবেন। তাহলে এই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি তো আর অত বেশি লেখাপড়া করিনি। মাস্টার্স ডিগ্রিটাও শেষ করতে পারিনি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় এসে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ আমার জন্য সৌভাগ্যের এবং অনেক বড় পাওয়া।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকার ক্ষমতায় আছি। ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩, এটি এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা উপলব্ধি করতে পারবে না ২০ বছর আগে কেমন বাংলাদেশ ছিল। সেখানে ক্ষুধা-দারিদ্র ছিল, বৈজ্ঞানিক কোনো কিছু ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করি।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন চেয়েছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু আমি সেভাবে চাইনি’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করার। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে পথ চলায় আজকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনা হয়, তাহলে এই বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সকাল ১১টার দিকে সমাবর্তন শুরু হয়। উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে শুরু হয়ে সমাবর্তন মঞ্চে প্রবেশ করে। এরপর সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হয়। ১১টা ১ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাড়ে ১১টায় সমাবর্তন বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট দেয়া হয়।

ঢাবি থেকে মাস্টার্স করতে না পারার আক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করতে না পারার আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতাম, মাস্টার্স ডিগ্রিটা শেষ করতে পারতাম অনেক খুশি হতাম। পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক ডিগ্রি পেয়েছি। ওতে মন ভরে না। নিজের ইউনিভার্সিটিরটা পেলাম না। অবশ্য আমাকে একটা অনারারি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা তো না। লেখাপড়া করতে পারলে তো আরো ভালো হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর