বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পল্টনে নিহত শামীম যুবদলের কর্মী নন: পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৩৯

প্রাণ হারানো শামীমের বাবা ইউসুফ মিয়ার বরাত দিয়ে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের আক্রমণ চলাকালে শামীম পুলিশ হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় শামীম স্ট্রোক করে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের পদতলে পিষ্ট হয়ে সে রাস্তায় পড়ে থাকে। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

রাজধানীর পল্টনে শনিবার বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় নিহত মো. শামীম যুবদলের কর্মী নন বলে পরিবারের বরাত দিয়ে রোববার জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শামীম একজন চিকিৎসকের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।

প্রাণ হারানো শামীমের বাবা ইউসুফ মিয়ার বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের আক্রমণ চলাকালে শামীম পুলিশ হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় শামীম স্ট্রোক করে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের পদতলে পিষ্ট হয়ে সে রাস্তায় পড়ে থাকে। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিষয়ে পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হায়দার জানান, শামীমের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বিএনপির ভাষ্য

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে শামীম মোল্লা নামে এক যুবদল নেতা নিহত হন বলে দাবি করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।

তিনি জানান, প্রাণ হারানো শামীম মোল্লা মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানায়।

লিটন মাহমুদ বলেন, ‘শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টন মোড় এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

‘এ সময় শামীম মোল্লা গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে পল্টন থানা পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’

এ বিভাগের আরো খবর