চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ছয় মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে না পরায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারকের ব্যাখ্যা তলব করেছে আপিল বিভাগ।
আগামী ১২ নভেম্বর তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওই দিন পর্যন্ত মামলার এক আসামির জামিন স্থগিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলা শেষ করতে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেয় উচ্চ আদালত। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও মামলাটি শেষ হয়নি, যে কারণে আদালত বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেয়, তবে রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট।
রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আদালত। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না, কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই রায়ের কপি আর বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি, যে কারণে শুরু হয়নি বিচার।