বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর চার ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে একপ্রকার ছিটকেই গেছে বাংলাদেশ। তবে ষষ্ঠ ম্যাচে আবার ছন্দ ফিরেছে টাইগার শিবিরে। নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান করেছে ডাচরা। ফলে জিততে হলে ২৩০ রান করতে হবে সাকিব বাহিনীকে।
ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এছাড়া ওয়েসলি ব্যারেসি করেছেন ৪১ রান।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারেই বিক্রমজিত সিংকে ফেরান তাসকিন। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে সাকিব আল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩ রান করা বিক্রমজিত।
তৃতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পান শরিফুল ইসলামও। ওভারের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরে লাফিয়ে ওঠা বল ম্যাক্স ওডাউডের ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের মুঠোয় চলে যায়। ফলে শূন্য রানে ফিরতে হয় এই ডাচ ওপেনারকে।
চার রানে দুই উইকেট পড়ার পর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন ওয়েসলি ব্যারেসি ও কলিন অ্যাকারমান। ৫৯ রানের জুটি গড়ে মোস্তাফিজের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যারেসি। এর ফলে ৪১ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে তার।
পরের ওভারে সাকিব এসে অ্যাকারমানকে সাজঘরের পথ দেখান। ১৫ রান করা অ্যাকারমান সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন, তা লুফে নিতে ভুল হয়নি মোস্তাফিজের।
৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ফের নেদারল্যান্ডসের হাল ধরেন ব্যাস ডি লিড ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান যুক্ত করেন এই দুই ব্যাটার। এই জুটিটি ভাঙেন তাসকিন।
তাসকিনের লেংথ ডেলিভারিতে অফ সাইডে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডি লিড। শুরুতে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে সাকিব রিভিউ নিয়ে সফল হন। ফলে ৩২ বলে ১৭ রান করে ফিরতে হয় ডি লিডকে।
এরপর এডওয়ার্ডসের সঙ্গে যুক্ত হন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। একের পর এক সিঙ্গেলস-ডাবলসের পশরা সাজিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। এর মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এডওয়ার্ডস।
ডাচদের ইনিংসের সর্বোচ্চ এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজের ওয়াইড ইয়র্কার বুঝতেই পারেননি এডওয়ার্ডস। ফলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন তিনি। ফেরার আগে ৮৯ বলে ৬৮ রান করেন ডাচ অধিনায়ক। এর তিন বল পর নতুন ওভারে ফিরে যান এঙ্গেলব্রেখটও। ৬১ বলে ৩৫ রান করা এঙ্গেলব্রেখটকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান শেখ মেহেদী।
শেষদিকে লোগান ভ্যান উইক ১৬ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংসটি ডাচদের লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়।
এদিন মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরিফুল ও শেখ মেহেদী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিব নিয়েছেন একটি উইকেট।