আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বিপুল পরিমান নেতা-কর্মী নিয়ে যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শনিবার আওয়ামী লীগের পূর্বঘোষিত সমাবেশ সফল করতে যোগ দেন আলোচিত এ সংসদ সদস্য।
প্রায় শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসে ১০ হাজারের মত নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় শামীম ওসমানকে। এ সময় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের স্টেজের সামনে দাড়িয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্লোগান দেন তিনি।
শামীম ওসমানের সঙ্গে আসা নেতা-কর্মীদের শরীরে সাদা গেঞ্জি এবং হাতে সাদা ও জাতীয় পতাকা ছিল।
এর আগে, আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, গাজীপুরের বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও।
তারা প্রত্যেকেই বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মী নিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন।
শনিবার দুপুর একটার দিকে বিপুল নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে যান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান।
সমাবেশে যোগদানের সময় জাতীয় পতাকা হাতে দেখা যায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে।
শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পদ হারিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সেই অব্যাহতি প্রত্যাহার করার পর তাকে দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালে একাধিকবার সমালোচিত হন ডা. মুরাদ হাসান। সবশেষ চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান তিনি।
বিপুল নেতা-কর্মী নিয়ে তিনটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আসেন সমাবেশস্থলে। এ ছাড়া শামীম ওসমানসহ অনেকই নেতাকেই সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে।