সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের হযরত খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহ.) এর দরবার শরিফের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দরবার শরীফের খাদেম মাহফুজুর রহমান বাবলু বলেন, ‘তার পূর্ব ইচ্ছানুযায়ী এখানে দাফন করা হয়েছে।’
এর আগে, শুক্রবার দুপুর দুইটায় মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদ, পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার মাদারীপুরের ডাসার এলাকায় তৃতীয় জানাজার পর তার মরদেহ হেলিকপ্টারে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে আনা হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেন হযরত খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহ.) এর দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন পীর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়ার জামাতা। এনায়েতপুর গ্রামে তার নিজস্ব একটি বাড়িও রয়েছে।
হযরত খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহ.) এর দরবার শরীফের খাদেম মাহফুজুর রহমান বাবলু বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তার মরদহ হেলিকপ্টারে খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে আনা হয় এনায়েতপুর দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে। এরপর জুমার নামাজের পর ঠিক দুইটার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজার নামাজে হাজারো মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন। এরপর জানাজা শেষে তাকে দরবার শরীফ প্রাঙ্গণেই কবর দেয়া হয়।’
এর আগে, বুধবার ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তার স্ত্রীর নাম খাজা নার্গিস। তার দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল হোসেন। এরপর সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর (বর্তমান নাম সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) দায়িত্ব পালন করেন।