রাজধানীর কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ ও নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে দুই শর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) শুক্রবার মধ্যরাতে এ অভিযান চালায়।
রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান শেষে ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীরা যেন কোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে, এ জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনাস্থলে আসামাত্র বেশ কিছু ককটেল পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘কাকরাইলের ওই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ভবনটিতে কয়েক শ নেতা-কর্মী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। ভবনের ভেতরে রড, লাঠি, ককটেল, চাল, ডাল ও ইটভাঙা পাওয়া যায়। পরে সেখান থেকে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং মামলা হবে।’
আটক ব্যক্তিরা সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা করতে চেয়েছিল কি না, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারা যদি সমাবেশেই আসবে, তাহলে রড ও ককটেল নিয়ে আসবে কেন? তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না, জানি না, তবে তদন্ত করে দেখা হবে।’
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ আহত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অলরেডি দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছেন।’
হারুন আরও বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, শুধু কাকরাইলের এই ভবনটিই নয়, এমন আরও ভবন আছে, সেখানে অসংখ্য মানুষ অবস্থান করছে। সেই ভবনগুলোতেও আমরা অভিযান চালাব।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন ভবনটি জমজম গ্রুপের মালিক ও বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার। তিনি কুমিল্লার একটি আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।