আওয়ামী লীগের ডাকা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শেষ হলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে মনে না করতে নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। এদের দুরভিসন্ধি আছে। সাম্প্রদায়িক আরও দুই-একটি শক্তিকে নিয়ে তাদের অশুভ খেলার পরিকল্পনা নিচ্ছে। সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। মিটিং শেষ, চলে গেলেই হবে না। কালকে একটু দেখেশুনে যাবেন। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই নিজে নিজে দায়িত্ব নেবেন। সবার দায়িত্ব আছে। এই যুদ্ধ আমাদের সবার। এটা বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। এটা মনে করেই মাঠে থাকতে হবে।
‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারব যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এটা মাথায় রেখেই নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, শান্তি সমাবেশ করব। আমরা অশান্তি করতে চাই না, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই, আমরা নির্বাচনের পরিবেশ চাই শান্তিপূর্ণ। কাজেই আমাদের দ্বারা কোনো প্রকার অশান্তি সৃষ্টির সুযোগ নাই। আমরা কেন অশান্তি করব? অশান্তি তারা চায়, যারা এই নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, নাশকতা সৃষ্টি করে গোটা পরিবেশটাকে অশান্ত করতে চায়।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বারবার অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াবার সুযোগ দেয়া উচিত না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ব্যাহত হতে দেবে না, এটা তাদের প্রতিজ্ঞা।’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচনকে সামনে রেখে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা করে কি না, মানুষ ভয় পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেঁচে থাকতে গণতন্ত্র ব্যাহত হতে দেব না; এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। বার বার অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়া উচিত না। এই অপশক্তির চিরতরে অবসান ঘটাতে হবে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খায়রুল কবির খোকন গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি কর্মী খুনের মামলায়। তাহলে কি বিএনপির নেতা-কর্মী হত্যা করলে রেহাই পাবে? এই সরকার আওয়ামী লীগের লোকজনকেও রেহাই দেয়া হয় না, অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিএনপি টেনেটুনে ২২ জনের নাম বলেছে। তারা আমাদের ২২ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে হত্যা করেছে। আমরা কী ভুলে গেছি? বড় বড় কথা বলবেন না, সেই তালিকাটা তৈরি করেন, মুখে বলবেন না। আমাদের তালিকা আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খানসহ অনেকে।