চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নাম ফলকে ভুল বানানে আবাসিক হলের আবাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
চবি ছাত্রদের জন্য শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল নামের দুটি আবাসিক হলের উদ্বোধন করা হয়।
উপাচার্যের কার্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে একসঙ্গে দুই হলের আবাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
তবে দুইটি উদ্বোধন ফলকের একটিতে দেখা যায়, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের নাম ভুল বানানে লেখা হয়েছে। ফলকটিতে লেখা হয়েছে ‘অতীশ দীপঙ্কর শ্রীঞ্জান হলে ছাত্রদের আবাসনের শুভ উদ্বোধন'। সেখানে ‘শ্রীজ্ঞান’-এর জায়গায় লেখা হয়েছে ‘শ্রীঞ্জান’।
তবে এটি চূড়ান্ত (পাথরের) ফলক নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর ফজল।
তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে নিশ্চিত করা হয়েছে আজ (শুক্রবার) মন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তাই সাময়িক একটা ফলক তৈরি করা হয়েছে, দেখতে পাথরের মতো মনে হচ্ছে। এটা টেমপোরারি (সাময়িক), পাথরের ফলক বানানোর সময় সংশোধন করা হবে।’
হল দুটির আবাসন কার্যক্রম উদ্বোধন কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠান ২৮ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রী দিল্লি যাবেন বলে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। উপাচার্যের অনুরোধে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের নিশ্চিত করেছেন অনলাইনে তিনি হল দুটি উদ্বোধন করবেন।’
এই কম সময়ে পাথরে খোদাই করে ফলক তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী। কারণ তারিখ উল্লেখের বিষয় আছে, পাথরে খোদাই করে তৈরি করতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে বলে জানান তিনি।
সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ‘আজকে যখন ফলকটি আনা হয়, আমরা ভুলটি চিহ্নিত করেছি, তবে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাওয়াতে আজকে আর সংশোধন করা যায়নি। আমরা আগামীকাল যখন চূড়ান্ত ফলক তৈরি করব, তখন সংশোধন করে দেব। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ভুল।’
শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে এ হলগুলো নির্মাণের বিষয়ে বলেছিলেন। এ দুটি হল নির্মাণের মাধ্যমে আশা করি ছাত্রদের আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’
হলগুলোতে থেকে লেখাপড়া করবেন, তারা নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবেন।’
সভাপতির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘এ দুটি হল উদ্বোধনের ইচ্ছা দীর্ঘদিনের। আমি চেষ্টা করেছি দ্রুত হল দুটির কার্যক্রম শুরু করতে। তারই অংশ হিসেবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী দিল্লি থেকেই আমাদের হল উদ্বোধন করেছেন।’
২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হল উদ্বোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় হলগুলোতে এতদিন আবাসন কার্যক্রম শুরু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।