রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে অবস্থিত খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।
দগ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
প্রাণ হারানো ৬২ বছর বয়সী মো. রফিকুল ইসলাম খাজা টাওয়ারে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মিরপুর শাহ আলীবাগ সলিমুদ্দিন মার্কেট রোডের বাসিন্দা।
রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা খাজা টাওয়ারে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। আগুন লাগার পর আমার বাবা ওখান থেকে বের হতে পারেননি। পরে তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের রাখা হয়েছে।’
রাজধানীর খাজা টাওয়ারে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৫টা ৭ মিনিটে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ১২টা ১০ মিনিটে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।
ভবনটি থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনে আগুন লাগার পর আতঙ্কে দড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় হাসনা হেনা নামে এক নারীর।