পাওনা টাকা আদায় করতে শিশু অপহরণের মামলায় রাজশাহীতে দুজনের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে একজনের যাবজ্জীবন ও অপরজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দণ্ডিতদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তাঁতারপুর মণ্ডলপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে রাজিবুল ইসলাম ও গোবিন্দপুরের কামরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে মিজানুরকে একটি ধারায় যাবজ্জীবন ও অপর এক ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর রাজিবুল ইসলামকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শামসুন নাহার মুক্তি জানান, মামলার বাদী মো. আজাদ বাঘায় মুরগির ব্যবসা করেন। তার কাছে মুরগি বিক্রির ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা পাওনা ছিল পাইকারি মুরগি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের।
২০১৯ সালের ১৬ মে টাকা আদায় করতে গিয়ে বাঘা বাজারে আজাদকে না পেয়ে তার ১১ বছর বয়সী সন্তান সুইটকে অপহরণ করেন মিজানুর। এ ঘটনায় আজাদ বাঘা থানায় অপহরণের মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
অ্যাডভোকেট শামসুন নাহার মুক্তি জানান, রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।