বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আওয়ামী লীগ ১৬৬ ও বিএনপি ১৩৭ আসন পেতে পারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:৫৮

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের ৭০টি করে ভিত্তি আসন রয়েছে। সেগুলোতে তাদের জয় মোটামুটি নিশ্চিত। পুরো নির্বাচনে ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে ৩০ শতাংশ নিরপেক্ষ ভোটার। আর আমার গবেষণা সত্যি হলে বিএনপির পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল এখন রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে। এর মাঝেই আসন্ন নির্বাচনে দুটি দল অংশ নিলে ভোটের ফলটা কেমন হতে পারে তার একটা পূর্বাভাস দিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারাকাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আসন পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রাজধানীর ইস্কাটনে অর্থনীতি সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন পূর্বাভাস দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই হিসাব একান্তই আমার ব্যক্তিগত; কোনোভাবেই অর্থনীতি সমিতির নয়। এই গবেষণা থেকে বড় দুই দল বেশকিছু তথ্য-উপাত্ত নিতে পারে।’

আবুল বারাকাত জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গার ‘ভোটারের মন বুঝে’ ও গেল চারটি ভালো নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন। এ সময় তিনি দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে ৬০ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র তুলে ধরেন।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর আধিপত্য কেমন সেই হিসাবও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৬টি আসন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিএনপি পেতে পারে ১১৯ থেকে ১৩৭টি আসন। অন্যান্য দল বাকি ১৫টি আসন পেতে পারে।’

অর্থনীতি সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের ৭০টি করে ভিত্তি আসন রয়েছে। সেগুলোতে তাদের জয় মোটামুটি নিশ্চিত। আর আমার গবেষণা সত্যি হলে বিএনপির পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই আবুল বারাকাত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে কোন দলের অবস্থা কেমন হতে পারে তা এখন জাতীয় কৌতূহলের বিষয়। এজন্য গত কয়েকটি নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। শুধু তাই নয়, নিরপেক্ষ ভোটারদের মন বুঝতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করেছি।

‘পুরো গবেষণায় আমি ধরে নিয়েছি যে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। যেখানে সব দলের প্রার্থী ও ভোটারের জন্য থাকবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এজন্য নির্বাচনী কারসাজি, প্রহসন, জোর-জবরদস্তি, টাকা পয়সার অবৈধ লেনদেন গবেষণায় স্থান দেয়া হয়নি।’

অধ্যাপক বারাকাত বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশই দলের অনুগত ভোটার। আর এই ৭০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ৩০ শতাংশ বিএনপির। আর ১০ শতাংশ অন্যান্য দলের।

‘বাকি ৩০ শতাংশ ভোটার নিরপেক্ষ অর্থাৎ তারা কাকে ভোট দেবেন তা পূর্বনির্ধারিত নয়। এই ৩০ শতাংশ নিরপেক্ষ ভোটারই নির্বাচনে ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিলো, কেন এই গবেষণা? জবাবে আবুল বারাকাত বলেন, ‘শতভাগ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই গবেষণা করেছি। ছয় মাস আগে মনে হচ্ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু হবে। এজন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছি। আমি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি কিংবা অর্থনীতি সমিতির এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ফলাফল তুলে ধরার আয়োজন করেছে সমিতি।’

গবেষণায় চারটি ভালো নির্বাচন থেকে তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু না হলে তো কে কত ভোট পাবে, সেই গবেষণারই দরকার নেই। আমি এমন নির্বাচন খুঁজেছি যেখানে বড় দুটি দুল অংশ নিয়েছে। নির্বাচন শেষে পরাজিত দল রাজনৈতিক কথাবার্তা বললেও হার-জিত মেনে নিয়েছে।’

কোন কোন নির্বাচনকে ভালো মনে করেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের তথ্য-উপাত্ত নিয়েছেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক মানেই ফেরেশতা এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আবার তত্ত্বাবধায়ক মানে খারাপ- ব্যাপারটা তা-ও নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর