বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াতকে স্পেস দেয়ার সুযোগ নেই: ডিএমপি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:২৪

শাপলা চত্বরে জামায়াতের ডাকা সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার বলেন, ‘জামায়াত কোনো স্পেস পাবে না। তাদের বিষয়ে সহযোগিতা নয়, শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতি। এরপরও যদি তারা অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করতে চায়, তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আগামী ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সমাবেশের বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কোনোভাবেই ঢাকা শহরে জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত তাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

শাপলা চত্বরে জামায়াতের ডাকা সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার বলেন, ‘জামায়াতের বিষয়ে ডিএমপির অবস্থান লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। জামায়াতকে ঢাকা শহরের কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল। দলটির নিবন্ধন হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। সুতরাং জামায়াতকে কোনো ধরনের স্পেস দেয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত কোনো স্পেস পাবে না। তাদের বিষয়ে সহযোগিতা নয়, শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতি। এরপরও যদি তারা অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করতে চায়, তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়া ওইদিন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সড়কে সমাবেশ না করতে দেয়ার ব্যাপারে অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘যারা ঢাকা শহরে সভা-সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাদের রাস্তায় নয়, রাস্তা বাদ দিয়ে অন্যত্র উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। সেটা খোলা স্থান বা মাঠও হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা একটি মেগা সিটি। এখানে যদি লাখ লাখ লোকের সমাবেশ হয়, তাহলে দুই-আড়াই কোটি নগরবাসীর সমস্যা হয়, অসুস্থদের হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যেতে সমস্যা হয়। ঢাকাবাসীর স্বাচ্ছন্দে চলাফেরার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য কোনো জায়গায় সমাবেশ করার কথা জানানো হয়েছে। অন্য কোথায় তারা সমাবেশ করবে, সেটি তারাই নির্ধারণ করুক।’

এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই রকম চিঠি দেয়া হয়েছে। দুই দলের প্রতি ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্যত্র সমাবেশ করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। আমরা আশা করছি, নগরবাসীর ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো।’

পল্টনেই সমাবেশ করবেন বলে বিএনপি মহাসচিবের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় মাঠ গরম করা বা কর্মীদের চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে অনেক ধরনের কথা বলেন। তা আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি না। আমরা বিবেচনা করছি আইনসঙ্গত কথা।’

ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে সমাবেশ করতে হলে অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিতেই হবে। এটি আইনগতভাবেই বাধ্যতামূলক। কেউ যদি সেটা না করে, তবে তা আইনের বরখেলাপ হবে। সুতরাং আমরা আশা করব, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে; পুলিশকে সহযোগিতা করবে।’

২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে- বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘এটি মিথ্যা কথা। কোনো রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ ঘিরে ডিএমপি কাউকে গ্রেপ্তার করে না। আমাদের ক্রাইম ডিভিশনের প্রত্যেক থানার ওসি ও ডিসিকে বলা আছে, যারা ওয়ারেন্টের আসামি, সন্দেহজনক আসামি, মামলা বা তদন্তভুক্ত আসামি, নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য বলা হয়েছে। এর বাইরে অন্য সাধারণকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘দুই দলের মহাসমাবেশ ঘিরে এখন পর্যন্ত নাশকতার হুমকির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে থ্রেট (হুমকি) যে আসবে না, সেটি তো বলতে পারছি না। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো কাজ করছে। প্রতিটি ঘটনার সময় আমরা পর্যালোচনা করছি।’

রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে ডিএমপি অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ডিএমপিকে অত্যন্ত সক্ষম করেছেন। আমাদের অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ বা মোতায়েন করার প্রয়োজন নেই। যেকোনো পরিস্থিতি বা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

এ বিভাগের আরো খবর