বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু টানেল ছাড়াও চট্টগ্রামে ১৭ প্রকল্পের দ্বার খুলবেন প্রধানমন্ত্রী

ট্টগ্রাম সফরে টানেল ছাড়াও একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাস্তবায়ন করা অন্তত ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ টাওয়ার, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারা জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স, শিকলবাহা খালের ওপর পিসি গার্ডার ব্রিজ এবং পটিয়ায় শেখ কামাল অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল।

মাত্র দুইদিন পরেই খুলছে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের স্বর্ণাদ্বার খ্যাত বঙ্গবন্ধু টানেল। ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মিত এই সুড়ঙ্গপথের।

তবে চট্টগ্রাম সফরে টানেল ছাড়াও একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাস্তবায়ন করা অন্তত ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ টাওয়ার, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারা জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স, শিকলবাহা খালের ওপর পিসি গার্ডার ব্রিজ এবং পটিয়ায় শেখ কামাল অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল।

এছাড়াও রয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, পর্যটক বাস, রিভার ক্রুজ ও ফুল ডে ট্যুর সম্বলিত সমন্বিত পর্যটন সেবা প্রকল্প, ডিসি পার্ক, হাজার বছরের নৌকা জাদুঘর, ১৯১টি ইউনিয়নে খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস ও বার্ডস পার্ক।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এমন যেসব প্রকল্পগুলোর অধিকাংশের কাজ শতভাগ শেষ। তবে কিছু প্রকল্পের ১৩ থেকে ২০ শতাংশ কাজ বাকী আছে।

উদ্বোধনযোগ্য তুলনামূলক বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারা জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স, বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও শিকলবাহা খালের ওপর পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

এরমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা খাতের অর্থায়নে নির্মিত আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো নির্মাণ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। এই দুই প্রকল্পে ২ কোটি টাকা করে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৫২ টাকা। রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে জেলা পরিষদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের বরাদ্দ ৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ধরা হলেও এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ টাকা।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল প্রকল্পটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে চসিকের ব্যয় হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা।

শতভাগ সম্পন্ন আরেকটি প্রকল্প হলো পটিয়া উপজেলার উজিরপুর সড়কে শিকলবাহা খালের ওপর করা পিসি গার্ডার ব্রিজ। ৪৫ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এ ছাড়াও বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ টাওয়ারের নির্মাণ কাজ ৮০ শতাংশ, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ৮৭ শতাংশ এবং পটিয়ায় শেখ কামাল অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলের নির্মাণ কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩২ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।

জেলা পরিষদ টাওয়ার প্রকল্পটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে জেলা পরিষদ। ৮১ কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দের এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা খাতের অর্থায়নে পটিয়ায় শেখ কামাল অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ করছে জেলা পরিষদ। ২০ কোটি ১২ লাখ ৬১ হাজার ৮০ টাকা বরাদ্দের এই প্রকেল্পে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৬ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮১ টাকা।

এর বাইরে উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রিভার ক্রুজ ও ফুল ডে ট্যুর সম্বলিত সমন্বিত পর্যটন সেবা, হাজার বছরের নৌকা জাদুঘর, ১৯১টি ইউনিয়নে খেলার মাঠ ও সিমেন্স হোস্টেল কমপ্লেক্স সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস ও বার্ডস পার্কসহ জেলা প্রশাসন বাস্তবায়িত অন্তত ৬টি প্রকল্প।

অন্যদিকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর, বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সড়ক ও সিমেন্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ।

এরমধ্যে বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সড়কের নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চসিক। জিওবি অর্থায়নে এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণ করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ৬৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর।

বঙ্গবন্ধু টানেল ছাড়াও এই ১৭ প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিভিন্ন সংস্থার বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান। এরমধ্যে চট্টগ্রাম সফরে টানেল ছাড়াও ১৭টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনযোগ্য অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ, বাকীগুলোও শেষের দিকে। বাকী কয়েকটা প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর