বিএনপিকে উদ্দেশকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। রাজপথে আছি। কাউকে আক্রমণ করবো না। তবে আক্রান্ত হলে পাল্টা আঘাত হবে। আর ছাড়ব না।’
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বুধবার ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে সামনে রেখে রাজপথ দখলে রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি, করবও না। তবে সতর্ক থাকব।’
অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করব- বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের এমন বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন! এবার আপনার কপাল খারাপ। অলিগলিতেও পালাবার পথ পাবেন না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। বিএনপির মুখে মধু অন্তরে বিষ। এরা বিশ্বাসঘাতক। এই দলকে বিশ্বাস করা যায় না। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। রাস্তা ছাড়বেন না। তাদের ভগবান-অবতার অনেক শক্তিধর। অনেকে খবর নেয়।
‘তারা আমাদের বিজয়ে বার বার হস্তক্ষেপ করছে। গণতন্ত্রে আঘাত হেনেছে। বিজয় সংহত করতে হলে প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আসল শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। না হয়, বিজয় সংহত হবে না। দুর্নীতিবাজ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অস্তিত্ব বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপশক্তি থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চেতনায় মননে বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে। তারা অপশক্তি ও অপরাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।