বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হামুনের’ মধ্যেও স্বেচ্ছায় সেন্টমার্টিনে দেড় শতাধিক পর্যটক

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:০৮

পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু তারা নির্দেশনা না মেনে দ্বীপে থেকে গেছেন। তাই পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে। তাদের আনতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।’

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করেই তারা নিজ ইচ্ছায় এখানে রয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন গতিপথ পাল্টে কক্সবাজারে আঘাত হানার সম্ভাবনায় সোমবার ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করার সঙ্গে সঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে আগত পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সাগর উত্তাল রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নৌপথে যাতায়াতে ঝুঁকি রয়েছে। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণার আগে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে দ্বীপ ছাড়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’

সেন্টমার্টিনে থেকে যাওয়া পর্যটক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি জীবনে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে এসেছি। দ্বীপে এসেই শুনি ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে ফিরে যেতে হবে হঠাৎ। শুরুতে আমি এ বিষয়ে গুরুত্ব দেইনি। তাই রয়ে গেছি। এখন সমুদ্র বেশ উত্তাল। এখন ভয় করছে। আজ যাওয়ার চেষ্টা করব।’

তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু তারা নির্দেশনা না মেনে দ্বীপে থেকে গেছেন। তাই পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে। তাদের আনতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মাইকিং করার পরেও পর্যটকরা তাদের ইচ্ছায় থেকে গেছেন। তবে এখানে ভয় নেই। বিপদ সংকেত কেটে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। পর্যটকদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর