বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আর হজ্ব করা হবে না নিজাম সরকারের

  • প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া   
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:০৬

কাঁন্নাজড়িত কন্ঠে ছোট ছেলে আনিস বলেন, ‘বাবা ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। প্রথমে আমার বাসায় আসার কথা ছিল। বাবার আর হজ্ব করা হবে না। আল্লাহ যেন বাবার হজ্ব কবুল করেন।’

ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন ৬৫ বছর বয়সী নিজাম উদ্দিন সরকার। ঢাকা পৌছানোর আগেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনি।

সোমবার ট্রেনে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার মেঝো ছেলের বউ ২৩ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম, ৪ বছরের নাতনি তানহা বেগম ও ১০ মাসের নাতি মুয়াস উদ্দিনও ছিল। তবে তারা তিনজনই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।

নিজাম উদ্দিন সরকারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গ্রামের প্রধান কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টের ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ঢাকাগামী এগারোসিন্ধুর ট্রেনটিকে মালবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হন। এই দীর্ঘ লাশের সারির একজন নিজাম উদ্দিন সরকার। ছেলের বউ ও নাতি নাতনিরা সামান্য আহত হলেও বেঁচে আছেন।

গ্রামবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দেয়া এবং ছেলের বউ ফাতেমার চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি। সকাল ১১টার দিকে কালনী ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল তাদের। ট্রেনটি মিস করায় পরে মেঝো ছেলের বউ ও নাতি নাতনিসহ তিনটার দিকে এগারোসিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন নিজাম। ভৈরব থেকে ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেন দূর্ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার রাতে বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে সৌদিআরব থেকে সকালে বাড়িতে আসেন বাবাকে শেষ দেখা দেখতে। বাবার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে আহাজারি করছিলেন কাঞ্চনসহ স্বজনেরা।

কাঁন্নাজড়িত কন্ঠে ছোট ছেলে আনিস বলেন, ‘বাবা ওমরা হজ্বের কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। প্রথমে আমার বাসায় আসার কথা ছিল। বাবার আর হজ্ব করা হবে না। আল্লাহ যেন বাবার হজ্ব কবুল করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর