চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বোনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ভাই আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর সোমবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আলমগীর। তার ভাষ্য, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে সরিয়ে আনতে বোনকে হত্যা করেছেন তিনি।
প্রাণ হারানো ৩২ বছর বয়সী মনজুরা খাতুন মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে থাকতেন মনজুরা খাতুন। একপর্যায়ে খালাতো বোনের স্বামীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে বলায় ভাই আলমগীরের সঙ্গে তার প্রায়ই বিবাদ হতো।
‘গত শনিবার রাতে একই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মনজুরা খাতুনকে বাড়ির পাশের আম বাগানে ডেকে নিয়ে তাকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আলমগীর। এরপর মরদেহটি পাশের একটি বেগুন ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ বলেন, ‘ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে অস্ত্রের আঘাতে নিজেকে জখম করেন আলমগীর। তারপর আম গাছে থাকা দড়ি নিয়ে নিজেই নিজের হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বিভ্রান্ত করেন।’
ওই ঘটনায় সোমবার সকালে বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেন নিহত মনজুরা খাতুনের স্বামী সুরুজ আলী। পরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের ভাই আলমগীর হোসেনকে।
গ্রেপ্তারের সময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো অস্ত্র।
এর আগে, চুয়াডাঙ্গায় দর্শনার পৌর এলাকার মোহাম্মদপুর গ্রামের একটি বেগুন ক্ষেত থেকে রোববার সকাল ১০টার দিকে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়।