বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামুন বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল পার হবে বুধবার, বন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:৪৩

পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুন্দ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ছয় নম্বর ও মোংলা বন্দরে পাঁচ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও এগিয়ে এসেছে। ভোলা জেলার কাছ দিয়ে বুধবার বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে উপকূলে জলচ্ছ্বাস ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ ১০ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে চার সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেতও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুন্দ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপৎসংকেত এবং কক্সবাজারে ছয় নম্বর ও মোংলা বন্দরে পাঁচ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চি-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুন্দ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের বদলে পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে সাত নম্বর বিপৎসংকেত এবং কক্সবাজারে ছয় এবং মোংলায় পাঁচ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেগ বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর