ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও দুটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রি পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান।
অনুমোদিত আইনগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী খ্যাতনামা পরমাণু ও পদার্থ বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও দেয়া হয় এদিন। আর অপরটি হলো সরকারের ক্রয়নীতি।
এ ছাড়া বৈঠকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ২৮ আগস্ট ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে।
গ্রাম আদালতে জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানার করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। তখন ভোটাভুটি হলে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানিকে পরিবেশবান্ধব করতে বাধ্য করার জন্য সোমবার ‘টেকসই সরকারি ক্রয়নীতি-২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) মোট চারটি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৬৪টি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪০টি আইন, ছয়টি অধ্যাদেশ পাস হয়েছে। সংসদে কিছু আইন পেন্ডিং আছে। সরকারের এ মেয়াদে সেগুলো পাস হবে বলে আমরা আশা করছি।