বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’ রূপ নিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। বর্তমানে এটির অবস্থান মোংলা বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার দিনভর মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সন্ধ্যার পরও আকাশ মেঘে ঢাকা রয়েছে। উপকূলে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি শুরু হয়নি।
এ অবস্থায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের পরিবর্তে চার নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে৷
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সিগনাল বেড়েছে। ফলে রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে যাবে।’