বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশে বাংলাদেশের ৮১টি এবং ঢাকায় ৫২টি বিদেশি দূতাবাস আছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৯:০৭

বাবলার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ১১টি নতুন মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে চালুর অপেক্ষায় আছে আরও দুটি মিশন। তা হলো কাবুল (আফগানিস্তান) ও ফ্রিটাউন (সিয়েরালিওন)।

বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু আছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় ঢাকায় ৫২টি বিদেশি দূতাবাস কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ যথাক্রমে প্রশ্ন দুটি করেন।

বাবলার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু রয়েছে। এছাড়া আরও ১১টি নতুন মিশন স্থাপনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে চালুর অপেক্ষায় আছে আরও দুটি মিশন। তা হলো কাবুল (আফগানিস্তান) ও ফ্রিটাউন (সিয়েরালিওন)।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোহর বাহরু (মালয়েশিয়া) ও আসলোতে (নরওয়ে) মিশন স্থাপনে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন।’

মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন ও মন্ত্রিসভার সদয় অনুমোদনের পর ওআইসি (জেদ্দ, সৌদি আরব) স্থায়ী মিশন স্থাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরে বুয়েন্স আয়ারস (আর্জেন্টিনা), ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড), ফ্রাঙ্কফুট (জার্মানি), সাওপাওলো (ব্রাজিল) ও গুয়াংজোতে (চীন) মিশন স্থাপনের জন্য পরবর্তী অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর সেবাসমূহ হলো- প্রবাসে জেল পরিদর্শন; প্রবাসীদের প্রত্যাবাসন; পাসপোর্ট, ট্রাভেল পারমিট ও এনভিআর (ভিসা প্রয়োজন নেই) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রযোজ্য; কাগজপত্র সত্যায়ন; অনিয়মিত বাংলাদেশিদের নিয়মিত করার ব্যাপারে কূটনৈতিক চেষ্টা; প্রবাসীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা; দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ ও নাগরিকত্ব পরিত্যাগ।’

নওগাঁ-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে ‘ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি’র বিকল্প নেই। তাই উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’-কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতির ভিত্তি হিসেবে পাঁচটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। সেগুলো হলো- বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বহুমুখীকরণ; রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ; বিদেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের লাভজনক কর্মসংস্থান সৃষ্টি; প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং বিদেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতকরণ।’

এ বিভাগের আরো খবর