মানসিক যন্ত্রণায় পড়ে চার মাসের কন্যা সন্তান ফাতেমাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে মা।
রোববার সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মা রোমা বেগম প্রাথমিকভাবে শিশুকে হত্যা করার ঘটনা স্বীকার করেন। পরে নিহত ফাতেমার চাচা দেলোয়ার হোসেনের করা মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে বেলা ১১টার দিকে রোমা বেগমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নবীনগর থানান ওসি মোহাম্মদ মাহবুব আলম জানান, ‘দুবাই প্রবাসী অলিউল্লাহ-এর স্ত্রী রুমা বেগম বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। শুক্রবার রাতে রুমা বেগম তার বড় মেয়ে ৬ বছরের খাদিজা ও চার মাস বয়সী অপর কন্যা সন্তান ফাতেমা বেগমকে (হাজেরা) সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। মানসিক যন্ত্রণা থেকে রাত দুইটার দিকে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে ছোট সন্তান ফাতেমাকে বুকে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে ভোর ৫টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে নাটকীয়ভাবে তার শিশু সন্তান ফাতেমা নেই এমন আচরণ দেখান। সন্তান পাশে না থাকায় চিৎকার শুরু করেন রুমা বেগম। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
তার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করে। অনেক খুঁজেও তাকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। পরে রাতে শিশুটির চাচা অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করলে সেই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন মা রোমা বেগম।
তিনি বলেন, ‘চার মাসের শিশু ফাতেমা কী করে পানিতে গেলো এবং তার মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় ফাতেমা বেগমের মা রুমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রুমা বেগম তার সন্তানকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।’
কন্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও বনিবনা না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানান।