বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজীপুরের জাহাঙ্গীরকে ফের ক্ষমা করেছে আওয়ামী লীগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:২১

আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমা চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

গুরুতর অভিযোগে দু’বার আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমবার দল শর্তসাপেক্ষে তাকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নেয়। দ্বিতীয় দফায়ও গাজীপুরের প্রভাবশালী এই নেতাকে ক্ষমা করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেয়া চিঠিও নিউজবাংলার কাছে সংরক্ষিত আছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ‘সাধারণ ক্ষমা’ সিদ্ধান্তের আলোকে জাহাঙ্গীর আলমকে সেই সুযোগ দেয়া হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। তবে, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।’

আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমা চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীর আলম এর আগে ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন। দ্বিতীয় দফায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় চলতি বছরের ১৫ মে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজ জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে নিয়ে গাজীপুর সিটির তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের জেরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) ও ৪৭(২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সাধারণ ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর। জবাবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার অঙ্গীকার করেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ।

এরপর ২০২৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম নিজে এবং তার মা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যদিও জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হয়। কিন্তু তাঁর মা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

নানামুখী চেষ্টা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগ। উল্টো দল নিয়ে অপমানসূচক কথা বলেন তিনি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ মে আওয়ামী লীগ সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে অস্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। পরদিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশের কথা দলীয় প্রধানকে জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাহাঙ্গীরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। সেদিনই সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর