বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিলে ক্ষুব্ধ টিআইবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ১৮:২৯

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর থাকা একটি সংস্থার প্রধান যখন সুস্পষ্টভাবে দোষীদের চিহ্নিত করেন, তখন আশাবাদী হতেই হয়। দেশের মানুষ নতুন করে আশা করেছিল, সরকার কমিশন চেয়ারম্যানের সুস্পষ্ট অভিযোগসমূহ আমলে নেবে। তদন্ত হবে; দোষীরা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।বাস্তবে সেটা তো হলোই না, বরং সরে যেতে হলো কমিশনপ্রধানকেই।’

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংবাদমাধ্যমে শুক্রবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে টিআইবি বলেছে, এ পদক্ষেপ নদী রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের কথা জানায়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘জনস্বার্থে’ তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ারম্যান মনজুরের ২০২৫ সাল নাগাদ নদী রক্ষা কমিশনে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল।

টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এই ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করে সরকার কী বার্তা দিতে চাইছে, সেটাই উদ্বেগের কারণ বলে মনে করে টিআইবি।’

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হলেও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যত অকার্যকর করে রাখা হয়েছে আইন দিয়েই। কমিশন কেবল সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে।

‘দখলদার আর দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। কমিশনের প্রতিবেদন বা পরামর্শ মানার বাধ্যবাধকতাও নেই। অথচ এই ভূখণ্ডের চরিত্র, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কমিশনকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালককে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এতসব ‘নেই’-এর মাঝে সম্প্রতি দেশবাসী কিছুটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের সাহসী অবস্থানের কারণে বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘নদী কারা দখল করছে, ধ্বংস করছে, দূষণ করছে, সেটা অন্তত আমরা জানতে পারছিলাম। একটা জনমত তৈরি হওয়ার আবহ দেখা যাচ্ছিল, বেগবান হচ্ছিল নদী রক্ষার আন্দোলন।’”

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর থাকা একটি সংস্থার প্রধান যখন সুস্পষ্টভাবে দোষীদের চিহ্নিত করেন, তখন আশাবাদী হতেই হয়। দেশের মানুষ নতুন করে আশা করেছিল, সরকার কমিশন চেয়ারম্যানের সুস্পষ্ট অভিযোগসমূহ আমলে নেবে। তদন্ত হবে; দোষীরা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।

‘বাস্তবে সেটা তো হলোই না, বরং সরে যেতে হলো কমিশনপ্রধানকেই। সরকার দোষীকে দোষী বলার ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, এমন আশঙ্কাই জোরদার হলো কমিশনের চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল করার মধ্য দিয়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর