বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুর হাত-পা বেঁধে মাকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে হত্যা

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:১১

বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানায়, মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে গৃহবধূ তাসলিমাকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে মরদেহের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

বগুড়ায় শিশুসন্তানকে হাত-পা বেঁধে শয়নকক্ষে আটকে রেখে তাসলিমা আকতার নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার বাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত তাসলিমা নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পতির ৩ বছর বয়সী সন্তান কাজিম আলীকে হাত-পা বাঁধা ও মাথায় আঘাত পাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিশুটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই আলামত সংগ্রহ করেছে। র‍্যাব-১২ বগুড়ার একাধিক দলও এ নিয়ে কাজ করছে।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানায়, মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে গৃহবধূ তাসলিমাকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে মরদেহের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কোনো এক সময় এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে ধারণা পুলিশের।

থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাসলিমার সঙ্গে তার ভাবী মল্লিকা খাতুনের সবশেষ কথা হয়। দুপুর ১টার দিকে তাসলিমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের কয়েক দফা চেষ্টা করে বন্ধ পান মল্লিকা। রাতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে সিরাজুল চাবি দিয়ে বাড়ির মূল ফটক খুলে বারান্দায় স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শিশু কাজিমকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরের পর থেকেই তাসলিমাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম ছেলে ফোনে গেম খেলে বন্ধ করে রেখেছে। বাসায় এসে দেখি সব শেষ। অথচ কারও সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই।’

নিহতের ভাবী মল্লিকা খাতুন বলেন, ‘সকালে তাসলিমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর থেকেই নম্বর বন্ধ পেয়েছি। আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। বাড়ির টাকা-পয়সা ও গহনা সব ঠিকই আছে। শুধু তার মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে খুনি। পরিচিত কেউই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমাদের ধারণা।’

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, মরদেহ সুরহতাল শেষে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার সকালে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের কিছু ক্লু মিলেছে। একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর