ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে বাসের চাপায় অটোরিকশার যাত্রী একই পরিবারের তিন নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মহাসড়কের জিংলাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসটির ৩০জন যাত্রী।
নিহতরা হলো- উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের হাজারী বাড়ীর মৃত রশিদ হাজারীর স্ত্রী রোসিয়া বেগম ও তার বড় বোন বারপাড়া গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা এবং তার পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশের খাদের পানিতে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ফজিলাতুন্নেছা ও রোসিয়া বেগম প্রাণ হারান।
খবর পেয়ে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশার আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে পাঠান। সেখান থেকে গুরুতর আহত সুমাইয়া আক্তারকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনিও অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
নিহতদের স্বজন রুহুল আমিন ও লোকমান হাজারী বলেন, ফজিলাতুন্নেছা তার ছেলে আব্দুল মান্নানের শ্বশুরবাড়ি ছান্দ্রায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা আমাদের পরিবারের তিনজনকে কেড়ে নিল।’
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহসিন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক।